সারাহ তৌমি
সারাহ তৌমি | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | তিউনিসীয় |
পরিচিতির কারণ | ১মিলিয়নট্রিজ৪তিউনিসিয়া |
সারাহ তৌমি হলেন একজন তিউনিসীয় উদ্যোক্তা, যিনি দেশটিতে মরুকরণ প্রতিরোধী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত আছেন।
জীবনী
[সম্পাদনা]সারাহ তৌমি জন্মেছিলেন ফ্রান্সে। তার বাবা ছিলেন একজন তিউনিসীয় এবং মা ছিলেন ফরাসি। ২০০৮ সালে প্যারিসে থাকাকালীন সময়ে সারাহ তৌমি 'ড্রিম' নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[১][২]
২০১২ সালে তিউনিসিয়ায় ফিরে আসার পর তিনি দেশটিতে 'সবার জন্য বাবলাগাছ' নামের একটি মরুকরণ প্রতিরোধী পরিকল্পনা হাতে নেন।[৩] দেশটির সফ্যাক্স প্রদেশের বির সালাহ গ্রামে তার দাদাবাড়িতে মরুকরণের প্রভাব দেখে প্রকল্পটি হাতে নেন।[৪] তিনি স্থানীয় নারীদের মরুকরণের দরুণ নগরে যেয়ে কম বেতনে চাকরি করতে বাধ্য হতে দেখেছেন।[৫]
তিউনিসিয়ার পরিবেশ মন্ত্রণালয় তার প্রকল্প গ্রহণ না করার পর তিউনিসিয়ার ব্যাংকগুলোতে প্রকল্পটির জন্য ঋণ চাইতে যেয়ে দেখেন যে, তিনি নারী বলে তাকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে না।[৩] তিনি এই ঘটনা সম্পর্কে পরবর্তীতে বলেন, "সবসময় আমাকে না শুনতে হয়েছে, এটা ছিল আমার জন্য এক অনুপ্রেরণা। আমার উপর সমাজে নারীদের সমানাধিকার লাভের জন্য যুদ্ধ করার গুরুদায়িত্ব বর্তিয়েছে এবং এ জন্য 'সবার জন্য বাবলাগাছ' প্রকল্পটি হবে প্রথম পদক্ষেপ।"[৫] এরপর ,তিনি ব্যাংকে ব্যাংকে না ঘুরে লোকজনের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ শুরু করে তিনশ ইউরো জোগাড় করেন।[৫]
তিনি দেশটির স্থানীয় খামারিদের বাবলাগাছ থেকে আঠা নিয়ে তা বিক্রি করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা ছাড়াও অনাবৃষ্টি প্রতিরোধী সজনে গাছ থেকে তেল সংগ্রহের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হতে উদ্বুদ্ধ করেন।[৩] তার প্রকল্পের সাথে যুক্ত থাকা প্রথম দিককার খামারি সবাই নারী হলেও তিনি পরবর্তীতে প্রকল্পটিতে নারী পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়।[৫]
এই প্রকল্পটির জন্য তিনি একমাত্র আরব ও আফ্রিকান হিসেবে ২০১৬ সালে 'ফরবেস ৩০ আন্ডার ৩০' তালিকায় স্থান পান।[২] প্রকল্পটি '১মিলিয়নট্রিজ৪তিউনিসিয়া' নামেও পরিচিত। প্রকল্পটির জন্য ২০১৬ সালে তিনি প্রথম তিউনিসীয় হিসেবে রোলেক্স উদ্যোগ পুরস্কার লাভ করেন।[৪]
২০১১ সালে তিনি হাতেম মাহবৌলি ও আসমা মনসৌরের সাথে তিউনিসীয় সামাজিক উদ্যোগ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন, যা দেশটিতে সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে চলেছে।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Sarah Toumi"। Skoll। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ক খ "Sarah Toumi, jeune pousse tunisienne déjà dans le classement Forbes"। Jeune Afrique (French ভাষায়)। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ক খ গ "Sarah Toumi, 28"। Forbes। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ক খ "La Tunisienne Sarah Toumi parmi les finalistes du concours Rolex Awards pour les entrepreneurs sociaux"। The Huffington Post (French ভাষায়)। ১৯ অক্টোবর ২০১৬। ১৪ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ "Hun kommer til København: En superhelt med træer som våben"। Politiken। ১৬ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Who We Are"। Tunisian Center for Social Entrepreneurship। ২০১৬-১১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।