[go: nahoru, domu]

বিষয়বস্তুতে চলুন

মুহাম্মদ ইউনূস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
২০১৯ সালে রাশিয়ায় ইউনূস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৮ আগস্ট ২০২৪
রাষ্ট্রপতিমোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
পূর্বসূরীশেখ হাসিনা
(প্রধানমন্ত্রী হিসাবে)
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1940-06-28) ২৮ জুন ১৯৪০ (বয়স ৮৪)
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম জেলা, বঙ্গ প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে হাটহাজারী, চট্টগ্রাম জেলা, বাংলাদেশ)
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪০–১৯৪৭)
পাকিস্তানি (১৯৪৭–১৯৭১)
বাংলাদেশী (১৯৭১–বর্তমান)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলনাগরিক শক্তি (২০০৭)
স্বতন্ত্র (২০০৭–বর্তমান)
দাম্পত্য সঙ্গীভেরা ফরোস্টেনকো (বি. ১৯৭০; বিচ্ছেদ. ১৯৭৯)
আফরোজী ইউনুস (বি. ১৯৮৩)
সন্তানমনিকা ইউনুস • দীনা
আত্মীয়স্বজনমুহাম্মদ ইব্রাহিম (ভাই)
শিক্ষা
পেশা
  • অর্থনীতিবিদ
  • উদ্যোক্তা
পুরস্কার
স্বাক্ষর
ওয়েবসাইটব্যক্তিগত
উচ্চশিক্ষায়তনিক কর্ম
বিষয়অর্থনীতি
বিদ্যালয় বা ঐতিহ্য
প্রতিষ্ঠান
উল্লেখযোগ্য কাজ

মুহাম্মদ ইউনূস (জন্ম: ২৮ জুন, ১৯৪০) একজন সামাজিক উদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। তিনি ২০২৪ সালের ৮ই আগস্ট থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[] তিনি ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।[] তিনি ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ২০১০ সালে কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।[] তিনি সেই সাতজন ব্যক্তির একজন যারা নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন।[]

২০১২ সালে তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য (শিক্ষা) হন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[][] এর আগে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।[] তিনি তার অর্থকর্ম সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ করেছিলেন। তিনি গ্রামীণ আমেরিকা এবং গ্রামীণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বোর্ড সদস্য, যা ক্ষুদ্রঋণকে সহায়তা করে থাকে।[] তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইউনাইটেড নেশনস ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদেও দায়িত্ব পালন করেন।[] ২০২২ সালে তিনি উন্নয়ন আন্দোলনের জন্য ইস্পোর্টস তৈরি করতে গ্লোবাল ইস্পোর্টস ফেডারেশনের সাথে অংশীদারিত্ব করেছিলেন।[১০]

২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট অসহযোগ আন্দোলন এর ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন[১১] এবং ২০২৪ সালের ৬ই আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করার পরে শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি ইউনূসকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত করেছিলেন।[] রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসাবে দেখা শ্রম কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে পরের দিন আপিলে তার খালাস তাকে দেশে ফিরে আসতে এবং নিয়োগকে সহজতর করেছিল।[১২] তিনি ২০২৪ সালের ৮ই আগস্ট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।[]

পরিবার এবং শৈশব

মুহাম্মদ ইউনুস ১৯৪০ সালের ২৮শে জুন ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রামের হাটহাজারির কাপ্তাই সড়কের বাথুয়া গ্রামে একটি বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[১৩][১৪] নয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।[১৫] তাঁর পিতা হাজী দুলা মিয়া সওদাগর ছিলেন একজন জহুরি, এবং তাঁর মাতা সুফিয়া খাতুন। তার শৈশব কাটে গ্রামে। ১৯৪৪ সালে তার পরিবার চট্টগ্রাম শহরে চলে আসে এবং তিনি তার গ্রামের স্কুল থেকে লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে যান।[১৩][১৬] ১৯৪৯ সালের দিকে তার মা মানসিক অসুস্থতায় ভুগতে শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং পূর্ব পাকিস্তানের ৩৯ হাজার ছাত্রের মধ্যে ১৬তম স্থান অধিকার করেন।[১৬]

১৯৫৩ সালে ইউনুস বয় স্কাউট হিসেবে

বিদ্যালয় জীবনে তিনি একজন সক্রিয় বয় স্কাউট ছিলেন এবং ১৯৫২ সালে পশ্চিম পাকিস্তানভারত এবং ১৯৫৫ সালে কানাডায় জাম্বোরিতে অংশগ্রহণ করেন। পরে, যখন ইউনুস চট্টগ্রাম কলেজে পড়াশোনা করছিলেন, তখন তিনি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন এবং নাটকের জন্য পুরস্কার জিতেন।[১৬] ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৬০ সালে বিএ এবং ১৯৬১ সালে এমএ সম্পন্ন করেন।

স্নাতকের পর

স্নাতক শেষ করার পর তিনি নুরুল ইসলাম এবং রেহমান সোবহানের অর্থনৈতিক গবেষণায় গবেষণা সহকারী হিসেবে অর্থনীতি ব্যুরোতে যোগ দেন।[১৬] পরবর্তীতে তিনি ১৯৬১ সালে চট্টগ্রাম কলেজে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান।[১৬] একই সময়ে তিনি পাশাপাশি একটি লাভজনক প্যাকেজিং কারখানা স্থাপন করেন।[১৪] ১৯৬৫ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য ফুলব্রাইট স্কলারশিপ লাভ করেন। ১৯৭১ সালে ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম ইন ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (GPED) থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।[১৭][১৮] ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত, ইউনুস মার্ফ্রিসবোরোতে মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি একটি নাগরিক কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং অন্যান্য বাংলাদেশিদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সমর্থন সংগ্রহ করতে বাংলাদেশ ইনফরমেশন সেন্টার পরিচালনা করেন।[১৬] তিনি ন্যাশভিলের তার বাড়ি থেকে 'বাংলাদেশ নিউজলেটারও' প্রকাশ করতেন। যুদ্ধ শেষ হলে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে সরকারের পরিকল্পনা কমিশনে নিযুক্ত হন। তবে কাজটি তার কাছে একঘেয়ে লাগায় তিনি সেখানে ইস্তফা দিয়ে[১৯] চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন।[২০]

ইউনুস দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম শুরু করেন ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্ভিক্ষের সময়। তিনি বুঝতে পারেন স্বল্প পরিমাণে ঋণ দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। সেই সময়ে তিনি গবেষণার লক্ষ্যে গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেন। ১৯৭৪ সালে মুহাম্মদ ইউনুস তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করেন যা সরকার প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় অধিগ্রহণ করে।[১৬] প্রকল্পটিকে আরও কার্যকর করতে ইউনুস এবং তার সহযোগীরা 'গ্রাম সরকার' কর্মসূচি প্রস্তাব করেন।[২১] যেটি ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রবর্তন করেন। এই কর্মসূচির অধীনে সরকার ২০০৩ সালে ৪০,৩৯২টি গ্রাম সরকার গঠিত হয়, যা চতুর্থ স্তরের সরকার হিসাবে কাজ করত। তবে ২০০৫ সালের ২ আগস্ট বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) কর্তৃক দায়ের করা একটি পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গ্রাম সরকারকে অবৈধ এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করে।[২২]

বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে উদ্ভাবকদের সহায়তার জন্য ইউনুসের ক্ষুদ্রঋণ ধারণা 'ইনফো লেডি সোশ্যাল এন্টারপ্রেনারশিপ' প্রোগ্রামের মতো কর্মসূচিকে অনুপ্রাণিত করে।[২৩][২৪][২৫]

প্রাথমিক কর্মজীবন

১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি জোবরা গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় ইউনুস আবিষ্কার করেন যে খুব ছোট ঋণ দরিদ্র মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য তৈরি করতে পারে। গ্রামের মহিলারা যারা বাঁশের আসবাব তৈরি করতেন, তাদের বাঁশ কিনতে উচ্চ সুদে ঋণ নিতে হতো এবং তাদের লাভ ঋণদাতাদেরকে দিতে হতো। প্রথাগত ব্যাংকগুলো দরিদ্রদেরকে উচ্চ ঋণখেলাপির ঝুঁকির কারণে যুক্তিসঙ্গত সুদে ছোট ঋণ দিতে চায়নি।[২৬] কিন্তু ইউনুস বিশ্বাস করতেন যে, সুযোগ পেলে দরিদ্ররা উচ্চ সুদ পরিশোধ করতে হবে না, তাদের নিজেদের পরিশ্রমের লাভ রাখতে পারবে, সেজন্য ক্ষুদ্রঋণ একটি কার্যকর ব্যবসায়িক মডেল হতে পারে।[২৭] ইউনুস তার নিজের টাকা থেকে ২৭ মার্কিন ডলার ঋণ দেন গ্রামের ৪২ জন মহিলাকে, যারা প্রতি ঋণে ০.৫০ টাকা (০.০২ মার্কিন ডলার) লাভ করেন। যেজন্য ইউনুসকে ক্ষুদ্রঋণের ধারণার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

জোবরা গ্রামের দরিদ্রদের ঋণ দেয়ার উদ্দেশ্যে ১৯৭৬ সালের ডিসেম্বরে ইউনুস সরকারি জনতা ব্যাংক থেকে একটি ঋণ পান। প্রতিষ্ঠানটি তার প্রকল্পের জন্য অন্যান্য ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। ১৯৮২ সাল নাগাদ এর সদস্য ছিল ২৮,০০০ জন। ১৯৮৩ সালের ১ অক্টোবর, এই পাইলট প্রকল্পটি দরিদ্র বাংলাদেশীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসাবে কাজ শুরু করে এবং এর নামকরণ করা হয় গ্রামীণ ব্যাংক ("ভিলেজ ব্যাংক")। জুলাই ২০০৭ নাগাদ গ্রামীণ ব্যাংক ৭.৪ মিলিয়ন ঋণগ্রহীতাদের জন্য ৬.৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ইস্যু করেছিল।[২৮] "সলিডারিটি গ্রুপ" নামক একটি সিস্টেম ব্যবহার করে ব্যাংকটি ঋণ পরিশোধ নিশ্চিত করে। এই ক্ষুদ্র অনানুষ্ঠানিক গোষ্ঠীগুলি একসঙ্গে ঋণের জন্য আবেদন করে এবং এর সদস্যরা ঋণ পরিশোধের সহ-জামিনদার হিসেবে কাজ করে এবং অর্থনৈতিক স্ব-উন্নয়নে একে অপরের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।[২৯]

১৯৭৪ সালে দেশে এক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। মানুষ অনাহারে মারা যাচ্ছিল এবং খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছিল না। এটা ছিল চারপাশে দেখা এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। অর্থনীতির মনোমুগ্ধকর তত্ত্ব পড়াই, এখানে সেটির অভিজ্ঞতা ছিল ভয়াবহ, সেই তত্ত্বগুলো সেই মুহূর্তে ক্ষুধার্ত মানুষের কোনো কাজে না। তাই আমি দেখতে চেয়েছিলাম যে একজন ব্যক্তি, একজন মানব হিসেবে, আমি কিছু মানুষের জন্য কিছু কাজে আসতে পারি কিনা।

–মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক গঠনের কারণ সম্পর্কে বলেছিলেন[৩০]

১৯৮০ সালের শেষের দিকে, গ্রামীণ ব্যাংক অব্যবহৃত মাছ ধরার পুকুর সংস্কার এবং গভীর নলকূপ স্থাপনের মতো বিষয় নিয়ে কাজ করতে শুরু করে। ১৯৮৯ সালে এই বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রকল্পগুলো পৃথক সংস্থায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। মৎস্য প্রকল্প গ্রামীণ মৎস্য ("গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন") এবং সেচ প্রকল্পটি গ্রামীণ কৃষি ("গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন") হয়ে ওঠে।[৩১] সময়ের সাথে সাথে গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্যোগটি গ্রামীণ ট্রাস্ট এবং গ্রামীণ তহবিলের মতো বড় প্রকল্পগুলি সহ লাভজনক এবং অলাভজনক উদ্যোগের একটি বহুমুখী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়, যা গ্রামীণ সফটওয়্যার লিমিটেড, গ্রামীণ সাইবারনেট লিমিটেড, এবং গ্রামীণ নিটওয়্যার লিমিটেডের মতো ইকুইটি প্রকল্পগুলি চালায়,[৩২] পাশাপাশি গ্রামীণ টেলিকম, যার একটি অংশীদারিত্ব রয়েছে গ্রামীণফোনে (জিপি), বাংলাদেশের বৃহত্তম বেসরকারী ফোন কোম্পানি।[৩৩] মার্চ ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জিপি'র ভিলেজ ফোন (পল্লী ফোন) প্রকল্পটি ৫০,০০০-এরও বেশি গ্রামে ২৬০,০০০ গ্রামীণ দরিদ্রদের কাছে সেল-ফোনের মালিকানা নিয়ে এসেছিল।[৩৪]

গ্রামীণের সাথে তার কাজের জন্য, ইউনূসকে ২০০১ সালে পাবলিক গ্লোবাল একাডেমী সদস্যের জন্য একজন অশোক: উদ্ভাবক হিসাবে নাম দেওয়া হয়েছিল।[৩৫] গ্রামীণ সোশ্যাল বিজনেস মডেল বইটিতে[৩৬], এর লেখক রাশিদুল বারী বলেছেন যে সারা বিশ্বে গ্রামীণ সামাজিক ব্যবসায়িক মডেল (জিএসবিএম) তত্ত্ব থেকে একটি অনুপ্রেরণামূলক অনুশীলনে পরিণত হয়েছে, যা নেতৃস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন, গ্লাসগো), উদ্যোক্তাদের (যেমন, ফ্রাঙ্ক রিবউড) এবং কর্পোরেশনগুলি (যেমন, ড্যানোন) দ্বারা গৃহীত হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে, রশিদুল বারী দাবি করেছেন যে ইউনূস দেখিয়েছেন কিভাবে গ্রামীণ সামাজিক ব্যবসায়িক মডেল দরিদ্র নারীদের ক্ষমতায়ন করতে এবং তাদের দারিদ্র্য দূর করতে উদ্যোক্তা মনোভাবকে কাজে লাগাতে পারে। ইউনূসের ধারণাগুলি থেকে বারী একটি উপসংহার টানার পরামর্শ দিয়েছিলেন যে দরিদ্ররা একটি "বনসাই গাছ" এর মতো, এবং তারা বড় কিছু করতে পারে যদি তারা সামাজিক ব্যবসায় সুযোগ পায় যা তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষমতায়নের সম্ভাবনাময় রাখে।

স্বীকৃতি

ইউনুস এবং গ্রামীণ ব্যাংককে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের প্রচেষ্টার জন্য ২০০৬ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল:

"মুহাম্মদ ইউনুস নিজেকে এমন একজন নেতা হিসাবে প্রমাণ করেছেন যিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের কল্যাণের জন্য দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবিক পদক্ষেপে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন, শুধু বাংলাদেশেই নয় বরং অন্যান্য অনেক দেশেও। আর্থিক নিরাপত্তা ছাড়াই দরিদ্র মানুষদের ঋণ দেওয়া অসম্ভব ধারণা মনে হয়েছিল। তিন দশক আগে বিনয়ী সূচনা থেকে, ইউনুস, প্রধানত গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে, ক্ষুদ্রঋণকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে একটি ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ারে পরিণত করেছেন।"

তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পান। গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারের খবর পাওয়ার পর, ইউনুস ঘোষণা করেন যে তিনি ১৪ লক্ষ (২০২৪ সালে প্রায় ২১ লক্ষের সমতুল্য) পুরস্কার অর্থের একটি অংশ ব্যবহার করে দরিদ্রদের জন্য কম খরচে, উচ্চ পুষ্টির খাবার তৈরির জন্য একটি কোম্পানি গড়ে তুলবেন; বাকিটা তার নিজ জেলা চট্টগ্রামে ইউনুস বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং বাংলাদেশে দরিদ্রদের জন্য একটি চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যবহার করবেন।[৩৮]

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ইউনুসকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার পক্ষে জোরালো সমর্থন প্রদান করেন। তিনি রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনে[৩৯] এবং তার আত্মজীবনী মাই লাইফ-এ এই বিষয়ে লিখেন।[৪০] ২০০২ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলিতে দেওয়া একটি ভাষণে, প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন ইউনুসকে এভাবে বর্ণনা করেন যে, "একজন ব্যক্তি হিসেবে যার অনেক আগেই নোবেল পুরস্কার [অর্থনীতিতে] পাওয়া উচিত ছিল এবং আমি এই কথা বলতেই থাকব যতক্ষণ না তারা অবশেষে তাকে এটি দেয়া হয়।"[৪১] অপরদিকে, দি ইকোনমিস্ট স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে যে, যদিও ইউনুস দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে চমৎকার কাজ করছেন, এটা তাকে শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য যথাযথ নয়, উল্লেখ করে: "... নোবেল কমিটি আরও সাহসী এবং কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারত যদি তারা ঘোষণা করত যে এবার কোনো পুরস্কারপ্রাপ্ত নেই।"[৪২]

রাজনৈতিক কার্যকলাপ

২০০৬ সালের শুরুর দিকে, ইউনুস এবং নাগরিক সমাজের অন্যান্য সদস্যরা যেমন রেহমান সোবহান, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, কামাল হোসেন, মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম এবং দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সৎ এবং পরিচ্ছন্ন প্রার্থীদের সমর্থনে একটি প্রচারে অংশ নেন।[৪৩] সেই বছরের শেষের দিকে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করার কথা বিবেচনা করেন।[৪৪] ২০০৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইউনুস একটি খোলা চিঠি লিখেন, যা বাংলাদেশি সংবাদপত্র 'ডেইলি স্টার'-এ প্রকাশিত হয়। তিনি নাগরিকদের তাঁর পরিকল্পনা সম্পর্কে মতামত চেয়ে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার কথা বলেন, যার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সঠিক নেতৃত্ব এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। চিঠিতে তিনি সবাইকে সংক্ষেপে লিখতে বলেন যে তিনি কীভাবে এই কাজটি করবেন এবং তারা কিভাবে এতে অবদান রাখতে পারেন।[৪৫] অবশেষে ইউনুস ঘোষণা করেন যে তিনি ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সালে নাগরিক শক্তি নামক একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে ইচ্ছুক।[৪৬][৪৭] সে সময়ে জনশ্রুতি ছিল যে, সেনাবাহিনী তাকে রাজনীতিতে আসার জন্য সমর্থন করেছিল।[৪৮] তবে ৩ মে ইউনুস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ফখরুদ্দিন আহমেদের সাথে সাক্ষাতের পর তিনি তাঁর রাজনৈতিক পরিকল্পনা পরিত্যাগের ঘোষণা দেন।[৪৯]

২০০৭ সালের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে, নেলসন ম্যান্ডেলা, গ্রাসা মাচেল এবং ডেসমন্ড টুটু বিশ্ব নেতাদের সমন্বিত একটি গ্রুপ করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বব্যাপী কঠিন সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য তাদের প্রজ্ঞা, স্বাধীন নেতৃত্ব এবং সততার মাধ্যমে অবদান রাখা।[৫০] নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর ৮৯তম জন্মদিনের উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে এই নতুন গ্রুপ 'দ্য এল্ডার্স' প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।[৫১] ইউনুস এই গ্রুপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি এল্ডার পদ থেকে পদত্যাগ করেন, তাঁর কাজের ব্যস্ততার কারণে সদস্যপদে যথাযথ অবদান রাখতে অক্ষম বলে উল্লেখ করেন।[৫২]

ইউনুস আফ্রিকা প্রগ্রেস প্যানেল (এপিপি)-এর সদস্য, একটি দশ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রুপ যারা আফ্রিকার ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই উন্নয়নের পক্ষে উচ্চ পর্যায়ে প্রচারণা চালায়। প্রতি বছর এই প্যানেল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, আফ্রিকা প্রগ্রেস রিপোর্ট, যা মহাদেশের জন্য তাৎক্ষণিক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরে এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালা প্রস্তাব করে।[৫৩] ২০০৯ সালে জুলাইয়ে ইউনুস দারিদ্র্য নিরসনে সহায়তা করার জন্য এসএনভি নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য হন। এই বোর্ড উন্নয়ন সংস্থার মূল বিষয় ও নীতি প্রণয়নে পরামর্শ প্রদান করে।[৫৪] ২০০৯ সালের জুলাই মাসে ইউনুস 'এসএনভি নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন'-এর আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য হন। এই বোর্ড সংস্থাটির দারিদ্র্য নিরসনের কাজকে সহায়তা করে।[৫৫] ২০১০ সাল থেকে ইউনুস 'ব্রডব্যান্ড কমিশন ফর ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট'-এর একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এটি একটি জাতিসংঘ উদ্যোগ, যা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য ব্যবহার করতে চায়।[৫৬] ২০১৬ সালের মার্চ মাসে তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন কর্তৃক স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। এই কমিশনের সহ-সভাপতি ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা[৫৭] ২০১৬-২০১৭ সালের রোহিঙ্গা গণহত্যার পর, ইউনুস মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানান।[৫৮]

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা

মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৯৬ সালে সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।[৫৯]

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান

ঢাকায় নিজ দপ্তরে অধ্যাপক ইউনূস, ২০১৪

২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়।[৬০] এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করে।[৬১] পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এতে সম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তাকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।[৬২] ৮ই আগস্ট ২০২৪ তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন।[৬৩]

বিতর্ক

শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভা ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম পর্যালোচনার ঘোষণা দেয়।[৬৪] ফেব্রুয়ারিতে মেরি রবিনসন-সহ বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক নেতা ইউনূসের পক্ষে সমর্থন বাড়াতে শুরু করেন, এর মধ্যে অন্যতম উদ্যোগ হচ্ছে "ফ্রেন্ডস অফ গ্রামীণ" নামে একটি আনুষ্ঠানিক সমর্থক নেটওয়ার্ক গঠন।[৬৫]

২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ঘোষণা করেন যে তদন্ত চলাকালীন ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক থেকে "দূরে থাকা" উচিত।[৬৬] ২০১১ সালের ২ মার্চ মুজাম্মেল হক - ব্যাংকের একজন প্রাক্তন কর্মচারী, যাকে সরকার জানুয়ারিতে চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিল[৬৭] - ঘোষণা করেন যে ইউনূসকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।[৬৮] তবে ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক জান্নাত-ই-কাওনাইন একটি বিবৃতিতে জানান যে বিতর্কের আইনি দিকগুলো পর্যালোচনা না হওয়া পর্যন্ত ইউনূস "তার পদে বহাল" রয়েছেন।[৬৯]

২০১১ সালের মার্চে ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে তাকে অপসারণের বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।[৭০] একই দিনে, গ্রামীণ ব্যাংকের নয়জন নির্বাচিত পরিচালক দ্বিতীয় একটি রিট আবেদন দাখিল করেন।[৭১] মার্কিন সিনেটর জন কেরি ৫ মার্চ ২০১১ তারিখে একটি বিবৃতিতে ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেন এবং এই ঘটনায় তিনি "গভীরভাবে উদ্বিগ্ন" বলে ঘোষণা করেন।[৭২] একই দিনে বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ করে এবং ইউনূসকে সমর্থন করতে মানববন্ধন গঠন করে।[৭৩]

রিট আবেদনগুলোর শুনানি ৬ মার্চ ২০১১ তারিখে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু স্থগিত করা হয়। ২০১১ সালের ৮ মার্চ আদালত ইউনূসের বরখাস্ত নিশ্চিত করে।[৭৪]

'সুদখোর' অভিযোগ এবং ক্ষুদ্রঋণের কার্যকারিতা

২০০৮ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে তাঁর নতুন বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউনূস

মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি এমন একটি প্রেক্ষাপটে করা হয়েছিল যেখানে কিছু মানুষ ক্ষুদ্রঋণের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। এর পেছনে ছিল ভারত ও মেক্সিকোর কিছু লাভজনক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের (এমএফআই) কার্যকলাপ।[৭৫] কিছু নির্দিষ্ট এমএফআই-তে ঋণ আদায়ের জন্য জোর-জবরদস্তি, সামাজিক চাপ এবং শারীরিক হয়রানি ব্যবহার করা হতো বলে জানা যায়।[৭৬] ক্ষুদ্রঋণের বাণিজ্যিকীকরণের[৭৭] কারণে ইউনূস বলেন যে তিনি "কখনও কল্পনাও করেননি যে একদিন ক্ষুদ্রঋণ নিজস্ব ধরনের সুদখোর সৃষ্টি করবে।"[৭৮]

মুনাফার লোভে কিছু লাভজনক এমএফআই প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) করতে আকৃষ্ট হয়, যার মধ্যে রয়েছে ভারতের সবচেয়ে বড় এমএফআই, এসকেএস মাইক্রোফিনান্স, যারা ২০১০ সালের জুলাইয়ে একটি আইপিও করে।[৭৯] ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে ইউনূস এই আইপিওর সমালোচনা করেন; ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ সভায় এসকেএস-এর প্রতিষ্ঠাতা বিক্রম আকুলার সাথে একটি বিতর্কে[৮০] তিনি বলেন, "ক্ষুদ্রঋণ গরিবদের থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য মানুষকে প্রলোভিত করার বিষয় নয়। আপনি সেটাই করছেন। এটা সম্পূর্ণ ভুল বার্তা।" প্রকৃত সুদের হার গণনা বিভিন্ন রকম হলেও, একটি হিসাবে গ্রামীণের গড় হার প্রায় ২৩% (মুদ্রাস্ফীতির হারের সাথে তুলনীয়) বলে দেখা যায়।[৮১] ২০০৬ সালের আরেকটি হিসাবে মুদ্রাস্ফীতির হারকে ছাড়িয়ে গিয়ে অনেক বেশি সুদের হার দেখা যায়।[৮২]

অভিযোগের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য

২০১০ সালের ডিসেম্বরে নরওয়ে সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে তহবিল অপব্যবহার বা আত্মসাতের সব অভিযোগ থেকে দ্রুত নির্দোষ ঘোষণা করা সত্ত্বেও ২০১১ সালের মার্চে বাংলাদেশ সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের সকল কার্যক্রমের উপর তিন মাসের একটি তদন্ত শুরু করে।[৬৪] এই তদন্তের কারণে মুহাম্মদ ইউনূস ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম-এ অংশগ্রহণ করতে পারেননি।[৮৩]

২০১১ সালের জানুয়ারিতে ইউনূস একটি মানহানির মামলায় আদালতে হাজির হন। এই মামলাটি ২০০৭ সালে একটি ছোট বামপন্থী দলের স্থানীয় এক রাজনীতিবিদ দায়ের করেছিলেন। মামলার কারণ ছিল ইউনূস এএফপি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একটি বক্তব্য, "বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য কাজ করেন। এখানে কোনো আদর্শ নেই"।[৮৪] শুনানিতে ইউনূসকে জামিন দেওয়া হয় এবং পরবর্তী শুনানিগুলিতে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থাকা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।[৮৫]

এই তদন্তগুলি সন্দেহের উদ্রেক করে যে এমন অনেক আক্রমণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হতে পারে,[৮৬] যার কারণ হতে পারে ২০০৭ সালের শুরুর দিকে থেকে শেখ হাসিনা এবং ইউনূসের মধ্যে কঠিন সম্পর্ক, যখন ইউনূস নিজের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন, যদিও তিনি ২০০৭ সালের মে মাসে সেই প্রচেষ্টা বাদ দেন।[৪৯]

অংশীদারদের সম্পর্কিত অভিযোগ: খাদ্য মামলা এবং ফোন মামলা

২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারিতে ইউনূস ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) খাদ্য নিরাপত্তা আদালতের দায়ের করা একটি খাদ্য ভেজাল মামলায় আদালতে হাজির হন। এই মামলায় তাকে "ভেজাল" দই উৎপাদনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়,[৮৭] যার চর্বি উপাদান আইনগত ন্যূনতম মাত্রার নিচে ছিল। এই দই গ্রামীণ ডানোন দ্বারা উৎপাদিত হয়, যা গ্রামীণ ব্যাংক এবং ডানোনের মধ্যে একটি যৌথ সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোগ। এর উদ্দেশ্য হলো দই বিক্রেতাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা এবং পুষ্টি-সমৃদ্ধ দইয়ের মাধ্যমে শিশুদের পুষ্টির উন্নতি করা। ইউনূসের আইনজীবীর মতে, এই অভিযোগগুলি "মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন"।[৮৮]

২০১২ সালের একটি স্বাধীন পাবলিক কমিশনের তদন্ত গ্রামীণ ব্যাংক পরিদর্শন করে বলে যে ইউনূস তার কর্তৃত্বকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং তার পরিচালনার সময়কালে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠিত হয় যে ইউনূসের কার্যকালে গ্রামীণ ব্যাংকের জামিনদার হিসেবে কাজ করার এবং স্বাধীন ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে ঋণ প্রদান করার আইনি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে (ক) গ্রামীণফোন প্রতিষ্ঠা ও অর্থায়ন সম্পর্কে, যা একটি লাভজনক টেলিকমিউনিকেশনস সংস্থা যা প্রাথমিকভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের জন্য একটি ট্রাস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নরওয়েজীয় সরকারি মালিকানাধীন বহুজাতিক টেলিনর-এর সাথে ইউনূস দ্বারা, এবং (খ) ইউনূস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলির একযোগে ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা অর্থায়নে গ্রামীণ ব্যাংকের সম্পদ ব্যবহার সম্পর্কে। কমিশন গ্রামীণ ব্যাংকের আইনি অবস্থানও পরীক্ষা করে এবং সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে এটি আইনগতভাবে সরকারি অর্থাৎ সরকারি প্রতিষ্ঠান, যার উপর রাষ্ট্রের অযোগ্য তত্ত্বাবধান এবং অতীতে ইউনূস কর্তৃক (সম্ভবত অজ্ঞাতসারে) ভুল উপস্থাপনার ফলে ব্যক্তিগত মালিকানার জনপ্রিয় ধারণা সৃষ্টি হয়েছিল। কমিশনের প্রতিবেদনে বর্তমান গ্রামীণ ব্যাংক ব্যবস্থাপনা, টেলিনরের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ সরকার এবং ইউনূসের সমর্থকদের দ্বারা কমিশনের তদন্তে বাধা সৃষ্টির উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদনের পূর্ণ তাৎপর্য এখনও বাংলাদেশের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া বা ইউনূস-সমর্থক প্রেস রিলিজে ঘনিষ্ঠভাবে পরীক্ষা করা হয়নি, যেখানে এগুলি ইউনূসকে অন্তত বাংলাদেশি সরকারি-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রে দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে অন্য পক্ষের সাথে ষড়যন্ত্রে জড়িত বলে ইঙ্গিত করে।[৮৯]

বিচার

মুহাম্মদ ইউনূস, নোবেল শান্তি পুরস্কার, ২০০৬

ইউনূস বাংলাদেশে ১৭৪টি মামলার সম্মুখীন হয়েছিলেন, যার মধ্যে ১৭২টি ছিল দেওয়ানি মামলা, কারণ আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর ক্ষমতায় থেকে গিয়েছিলেন।[৯০] অভিযোগগুলির মধ্যে ছিল শ্রম আইন লঙ্ঘন, দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার, যা ইউনূস দাবি করেছিলেন রাজনৈতিকভাবে প্রণোদিত।[৯০]

হাসিনা ইউনূসের বিরুদ্ধে একাধিক বিচার শুরু করেন।[৯১] প্রথমে তিনি ২০১০ সালে ইউনূসকে বিচারের মুখোমুখি করেন এবং শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অপসারণ করেন,[৯২] তার বয়সের কারণ দেখিয়ে।[৯৩] ২০১৩ সালে তিনি দ্বিতীয়বার চেষ্টা করেন, কারণ তিনি কথিত অনুমতি ছাড়া আয় করেছিলেন, যার মধ্যে ছিল তার নোবেল শান্তি পুরস্কারের অর্থ এবং বই বিক্রির রয়্যালটি।[৯৪] ইউনূসের বিরুদ্ধে এই ধারাবাহিক বিচার[৯৫] বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভ্রান্ত করে, গ্রামীণ ব্যাংকের ৮৩ লক্ষ সুবিধাবঞ্চিত নারী থেকে শুরু করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে পর্যন্ত।[৯৬][৯৭][৯৮][৯৯][১০০]

বিকাশ বাজাজ ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর লিখেছিলেন:

বাংলাদেশ সরকার গ্রামীণ ব্যাংক এবং এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলা অভিযানে তাদের সর্বশেষ ট্রাম্প কার্ড খেলেছে। গত সপ্তাহে আইন প্রণেতারা একটি আইন পাস করেছেন যা কার্যত ব্যাংকটিকে জাতীয়করণ করেছে। এই ব্যাংকটি দরিদ্র মহিলাদের ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার ধারণার পথিকৃৎ ছিল। নতুন আইনের মাধ্যমে ৮.৪ মিলিয়ন গ্রামীণ মহিলা, যারা ব্যাংকের অধিকাংশ শেয়ারের মালিক, তাদের কাছ থেকে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।[১০১]

২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি বাংলাদেশের একটি আদালত ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকম-এর তিনজন কর্মচারীকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তবে আদালত আপিলের জন্য জামিন মঞ্জুর করেছিল।[১০২] আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন,

যে দোষ আমরা করি নাই, সেই দোষের ওপরে শাস্তি পেলাম। এটা আমাদের কপালে ছিল, জাতির কপালে ছিল, আমরা সেটা বহন করলাম।[১০৩]

— মুহাম্মদ ইউনূস

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউনূসের দোষী সাব্যস্তকরণকে বিচার ব্যবস্থার "স্পষ্ট অপব্যবহার" বলে ঘোষণা করেছিল।[১০৪] পরবর্তীতে আপিলের প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট ড. ইউনূসসহ অন্যরা খালাস পান।[১০৫]

আমি এই অনুচ্ছেদটি বাংলায় অনুবাদ করে দিচ্ছি:

পটভূমি

অনেক বছর ধরে ইউনূস হাসিনার বাবা শেখ মুজিবের একজন অনুসারী ছিলেন।[১০৬] মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি-তে অধ্যাপনা করার সময়,[১০৭] ইউনূস বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তানের আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাংলাদেশ সিটিজেন্স কমিটি (বিসিসি) প্রতিষ্ঠা করেন।[১০৮] মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, বিসিসি ইউনূসকে তাদের 'বাংলাদেশ নিউজ লেটার'-এর সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করে।[১০৯] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৭২ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। মুজিবের মৃত্যুর পরেও এই সম্পর্ক অব্যাহত থাকে। ইউনূস হাসিনার সাথে একটি পেশাদার সম্পর্ক বজায় রাখেন। ইউনূস হাসিনাকে মার্কিন ফার্স্টলেডী হিলারি ক্লিনটনের সাথে ১৯৯৭ সালে ২-৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত একটি ক্ষুদ্রঋণ শীর্ষ সম্মেলনের সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ১৩৭টি দেশের ৫০ জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন ডিসিতে দারিদ্র্যের সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে সমবেত হন। এই অনুষ্ঠানে হাসিনা ইউনূসের প্রশংসা করেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, "অধ্যাপক ইউনূস এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের অসাধারণ কাজ করছে, গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য দরিদ্রদের ক্ষুদ্রঋণ প্রদানে নিয়োজিত ব্যাংকগুলির কার্যকারিতা সম্পর্কে আশাবাদ তৈরি করেছে"।[১১০] বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টেলিফোন সেবা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ হাসিনার অফিসে অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামীণফোন ব্যবহার করে হাসিনা প্রথম কল করেন তৎকালীন নরওয়েজীয় প্রধানমন্ত্রী থরবিয়র্ন জ্যাগল্যান্ড-কে। তার কথোপকথন শেষ হলে তিনি আরেকটি কল পান, গ্রামীণফোনের এক কর্মচারী লায়লী বেগমের কাছ থেকে। তবে এই দীর্ঘ সম্পর্কের অবসান ঘটে ২০০৭ সালে, যখন ইউনূস একটি রাজনৈতিক দল নাগরিক শক্তি গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।[১১১]

আমি এই অংশটি বাংলায় অনুবাদ করে দিচ্ছি:

বন্ধু থেকে শত্রু

শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার গ্রামীণ ও ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালায়। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, "তার কর্মকাণ্ড মনে হচ্ছে মি: ইউনূসের ২০০৭ সালে রাজনীতিতে আসার ঘোষণার প্রতিশোধ, যদিও তিনি কখনোই তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেননি"।[১১২] টাইমস অফ ইন্ডিয়া অনুযায়ী, ইউনূসের বিরুদ্ধে তার সিদ্ধান্তে আরেকটি বিষয় প্রভাব ফেলেছিল: নোবেল শান্তি পুরস্কার।[১১৩]

হাসিনা মনে করতেন যে ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাবেন। ৯ মার্চ, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সরকারের মনোভাব প্রকাশ করে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া উচিত ছিল"। তিনি নোবেল কমিটির বিচক্ষণতাকেও চ্যালেঞ্জ করেন।[১১৪]

ঐতিহাসিক বিবরণ

২০০৭ সালের সেনাবাহিনীর জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটান।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সেই সময় খালেদা জিয়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেশের চতুর্থ প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার জন্য জেনারেলের অনুরোধ ইউনূস প্রত্যাখ্যান করেন। তবে ইউনূস জেনারেলকে ফখরুদ্দিন আহমেদকে এই পদের জন্য বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন।[১১৫] ফখরুদ্দিন ১১ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং প্রথম দিনেই স্পষ্ট করে দেন যে তিনি শুধুমাত্র একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে চান না, বরং দুর্নীতি দমন করতেও চান। খালেদা এবং হাসিনা ফখরুদ্দিনের সমালোচনা করেন এবং দাবি করেন যে দুর্নীতি দমন করা তার কাজ নয়, কিন্তু ইউনূস তার সন্তোষ প্রকাশ করেন। এএফপি সংবাদ সংস্থার সাথে এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস মন্তব্য করেন "এখানে কোনো আদর্শ নেই।"[৮৫] হাসিনা ইউনূসের মন্তব্যের প্রতি কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, তাকে "একজন সুদখোর যিনি শুধু দারিদ্র্য দূর করতে ব্যর্থ হননি, বরং দারিদ্র্যকে লালন-পালন করেছেন" বলে অভিহিত করেন।[১১৬]" এটি ছিল ইউনূসের বিরুদ্ধে হাসিনার প্রথম সর্বজনীন বক্তব্য। পরবর্তীতে ইউনূস তার সম্ভাব্য রাজনৈতিক দলের নাম নাগরিক শক্তি ঘোষণা করে বলেন যে, তার দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশের একটি মিশন আছে, যাতে এর পরিচয় "তলাবিহীন ঝুড়ি" থেকে "উদীয়মান বাঘ"-এ পরিণত করা যায়। তবে ৩ মে তিনি তৃতীয় একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেন এবং তার রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার সমাপ্তি টানেন।[৯৫]

কার্যধারা

বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দেয়, অভিযোগ করে যে ১৯৯৬ সালে তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের একটি সহযোগী কোম্পানিতে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার হস্তান্তর করেছিলেন। ইউনূস এই অভিযোগ অস্বীকার করেন[১১৭] এবং নরওয়ে সরকার তাকে নির্দোষ প্রমাণিত করে।[১১৮]

ইউনূস তিনটি ফৌজদারি মামলার আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় আসেন। ২০০৭ সালে রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করার জন্য ইউনূসের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মানহানির মামলা দায়ের করা হয়।[৮৫] একজন খাদ্য পরিদর্শক ইউনূসের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন,[১১৯] অভিযোগ করে যে গ্রামীণ-ডানোন দ্বারা উৎপাদিত দই ভেজাল ছিল। চূড়ান্ত আঘাত আসে ২০১১ সালের ৩ মার্চ। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি চিঠিতে গ্রামীণকে জানায় যে ইউনূসকে বয়স বৃদ্ধির কারণ উল্লেখ করে গ্রামীণ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। নয়জন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, ২২ হাজার কর্মচারী,[১২০] এবং ৮৩ লক্ষ গ্রামীণ ঋণগ্রহীতার[১২১] সমর্থন নিয়ে ইউনূস সরকারি আদেশ অমান্য করেন, ঢাকায় গ্রামীণের সদর দপ্তরে ফিরে আসেন এবং এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঢাকা হাইকোর্টে একটি আপিল দায়ের করেন। তবে বিচারপতি মোহাম্মদ মোমতাজউদ্দিন আহমেদ এবং বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ইউনূসের বিরুদ্ধে রায় দেন, দাবি করে যে ১৯৯৯ সাল থেকে গ্রামীণের এমডি হিসেবে ইউনূসের নিয়োগ বেআইনি ছিল কারণ তিনি তখন ৬০ বছর বয়সে পৌঁছে গিয়েছিলেন।[১২২] আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দ[১২৩] (যেমন: হিলারি ও বিল ক্লিনটন), জাতীয় নেতৃবৃন্দ (যেমন: স্যার ফজলে হাসান আবেদ) এবং ৮৩ লক্ষ গ্রামীণ ঋণগ্রহীতার সমর্থন নিয়ে, ইউনূস হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একটি আপিল দায়ের করেন। প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ১৫ মার্চ ২০১১ তারিখে আপিলটি শুনানি করে এবং সরকার কর্তৃক ইউনূসের অপসারণ বহাল রাখে।[১২৪]

২০১২ সাল থেকে

২০১২ সালের ২ আগস্ট শেখ হাসিনা "গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ২০১২"-এর একটি খসড়া অনুমোদন করেন[১২৫] ব্যাংকের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্য।[১২৫] সেই ক্ষমতা ব্যাংকের পরিচালকদের হাতে ছিল—নয়জন দরিদ্র মহিলা যারা ৮৩ লক্ষ গ্রামীণ ঋণগ্রহীতা দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিলেন। হাসিনা ইউনূসের কার্যক্রম ও আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে একটি নতুন তদন্তের নির্দেশও দেন,[১২৬] কিন্তু গ্রামীণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তার শেষের দিকের বছরগুলোতে এই পদক্ষেপকে মানুষ তার ভাবমূর্তি ধ্বংসের চেষ্টা হিসেবে দেখে। প্রধানমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন যে ইউনূস সরকারের প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই তার আয় গ্রহণ করেছিলেন, যার মধ্যে তার নোবেল শান্তি পুরস্কারের আয় এবং বইয়ের রয়্যালটি অন্তর্ভুক্ত।[১২৭]

২০১৩ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা একটি নতুন আইনের খসড়া অনুমোদন করে যা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে গ্রামীণ ব্যাংকের উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে,[১২৮] দীর্ঘ দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিরোধ আরও বাড়িয়ে দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে গ্রামীণ ব্যাংক আইন ২০১৩ অনুমোদিত হয়[১২৯] এবং ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর সংসদে পাস হয়।[১৩০] এটি গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশকে প্রতিস্থাপন করে, যে আইনটি ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংককে একটি বিশেষায়িত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠার ভিত্তি ছিল।[১৩১] 'দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস' ২০১৩ সালের আগস্টে রিপোর্ট করে:

তারপর থেকে সরকার ব্যাংকটির তদন্ত শুরু করেছে এবং এখন গ্রামীণকে অধিগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছে—যার অধিকাংশ শেয়ার এর ঋণগ্রহীতাদের মালিকানাধীন এবং এটিকে ১৯টি আঞ্চলিক ঋণদাতায় বিভক্ত করার পরিকল্পনা করছে।[১১২]

ব্যক্তিগত জীবন

১৯৬৭ সালে ইউনূস যখন ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন সেসময় তিনি ভেরা ফরোস্টেনকোর সাথে পরিচিত হন, যিনি ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে রাশিয়ান সাহিত্যের একজন ছাত্রী ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেন্টন, নিউ জার্সিতে রাশিয়ান অভিবাসীদের কন্যা ছিলেন। তারা ১৯৭০ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[১৪][১৯] ইউনূসের ভেরার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামে তাদের মেয়ে মনিকা ইউনূসের জন্মের কয়েক মাস পরেই, কারণ ভেরা দাবি করেন যে বাংলাদেশ একটি শিশু পালন করার জন্য ভালো জায়গা নয় এবং নিউ জার্সিতে ফিরে যান।[১৪][১৯] মনিকা নিউ ইয়র্ক সিটিতে একজন অপেরাটিক সোপ্রানো (শাস্ত্রীয় গানের শিল্পী) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।[১৩২] ইউনূস পরে আফরোজি ইউনূসকে বিয়ে করেন, যিনি তখন ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের একজন গবেষক ছিলেন।[১৯] পরবর্তীতে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। তাদের মেয়ে দীনা আফরোজ ইউনূস ১৯৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।[১৯]

ইউনূসের ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের একজন প্রাক্তন অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর মাস এডুকেশন ইন সায়েন্স (সিএমইএস)-এর প্রতিষ্ঠাতা, যা গ্রামের কিশোরীদের কাছে বিজ্ঞান শিক্ষা পৌঁছে দেয়।[১৩৩] তার অন্য ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর (মৃত্যু ২০১৯) বাংলাদেশে একজন টেলিভিশন উপস্থাপক এবং সামাজিক কর্মী ছিলেন।[১৩৪]

সম্মাননা ও পুরস্কার

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ২০০৯ সালের বার্ষিক সভায় ড. ইউনূস বক্তব্য রাখছেন, দাভোস, সুইজারল্যান্ড

১৯৭৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ড. ইউনূস জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহ প্রায় ১৪৫টি পুরস্কার অর্জন করেছেন।[১৩৫]

  • ১৯৮৪ সালে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার, ফিলিপাইন[১৩৬]
  • ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, বাংলাদেশ
  • ১৯৯৮ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার[১৩৭]
  • ২০০৪ সালে ফিলাডেলফিয়ার হোয়ার্টন স্কুল অব দ্য ইউনিভার্সিটি অব পেন্সিল্‌ভেনিয়া তাকে গত "২৫ বছরে ২৫ জন সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়িক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন" হিসেবে নির্বাচন করে।[১৩৮]
  • ২০০৬ সালে তার অর্থনৈতিক কাজের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার
  • ২০০৬ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে শীর্ষ ১২ জন ব্যবসায়িক নেতার মধ্যে স্থান দেয়, তাকে "এশিয়ার ৬০ বছরের নায়ক"দের মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত করে।[১৩৯]
  • ২০০৮ সালে ইউনুসকে যুক্তরাজ্যের 'প্রসপেক্ট ম্যাগাজিন' এবং যুক্তরাষ্ট্রের 'ফরেন পলিসি' কর্তৃক পরিচালিত একটি উন্মুক্ত অনলাইন জরিপে শীর্ষ ১০০ জন পাবলিক ইন্টেলেকচুয়ালদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দেওয়া হয়।[১৪০]
  • ২০০৯ সালে ইউনুস স্লোভাকিয়ার ইনফরমাল ইকোনমিক ফোরাম ইকোনমিক ক্লাব দ্বারা প্রদত্ত সর্বোচ্চ পুরস্কার গোল্ডেন বিয়াটেক অ্যাওয়ার্ড পান। যারা স্লোভাক প্রজাতন্ত্রে অর্থনৈতিক, সামাজিক, বৈজ্ঞানিক, শিক্ষাগত এবং সাংস্কৃতিক কৃতিত্ব প্রদর্শন করে তাদের এটি দেয়া হয়।[১৪১]
  • ২০২১ সালে ইউনুস ক্রীড়া (ইউনুস স্পোর্টস হাবের মাধ্যমে) উন্নয়নের জন্য তার বিস্তৃত কাজের জন্য অলিম্পিক লরেল পুরস্কার পান।[১৪২]
  • ২০২১ সালে ইউনুসকে ইউনাইটেড নেশনস ফাউন্ডেশনের চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ পুরস্কার দেওয়া হয়। মানব মর্যাদা, সমতা এবং ন্যায়বিচার বৃদ্ধির জন্য তার আলোকিত নেতৃত্ব এবং উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।[১৪৩]

প্রকাশিত গ্রন্থ

  • Three Farmers of Jobra; অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; (১৯৭৪)
  • Planning in Bangladesh: Format, Technique, and Priority, and Other Essays; Rural Studies Project, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; (১৯৭৬)
  • Jorimon and Others: Faces of Poverty (co-authors: Saiyada Manajurula Isalama, Arifa Rahman); গ্রামীণ ব্যাংক; (১৯৯১)
  • Grameen Bank, as I See it; গ্রামীণ ব্যাংক; (১৯৯৪)
  • Banker to the Poor: Micro-Lending and the Battle Against World Poverty; Public Affairs; (২০০৩) আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৮৬৪৮-১৯৮-৮
  • Creating a World without Poverty: Social Business and the Future of Capitalism; Public Affairs; (২০০৮) আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৮৬৪৮-৪৯৩-৪
  • Building Social Business: The New Kind of Capitalism that Serves Humanity's Most Pressing Needs[১২৭] ; Public Affairs; (২০১০); আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৮৬৪৮-৮২৪-৬
  • A World of Three Zeroes: the new economics of zero poverty, zero unemployment, and zero carbon emissions. আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৫০৬-২৫৩-৪The University Press Limited Red Crescent House

তথ্যসূত্র

  1. "অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস"। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৪ 
  2. "The Nobel Peace Prize 2006"NobelPrize.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০২০ 
  3. "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যত অর্জন"। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৪ 
  4. "Professor Muhammad Yunus"। ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৪ 
  5. "Muhammad Yunus accepts Glasgow Caledonian University post"BBC News। ১ জুলাই ২০১২। ১৩ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৮ 
  6. "Muhammad Yunus Chancellor of Glasgow Caledonian University"UK Parliament। ১৬ জুলাই ২০১২। ৭ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১২ 
  7. "Professor Muhammad Yunus"Keough School – University of Notre Dame (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০২০ 
  8. "Bangladesh dissolves Parliament; protesters call for Nobel laureate to lead"The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৮ 
  9. United Nations Foundation ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে, additional text.
  10. "Global Esports Federation partners with Yunus Sports Hub to build Esports for Development movement"Global Esports Federation। ২০২২-০৯-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৯ 
  11. "পদত্যাগ করে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা"। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৪ 
  12. "Le Prix Nobel Muhammad Yunus arrive au Bangladesh pour former un gouvernement"Le Monde (ফরাসি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-০৮। 
  13. "First loan he gave was $27 from own pocket"The Daily Star। ১৪ অক্টোবর ২০০৬। ১৮ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০০৭ 
  14. Haider, Mahtab (১ জানুয়ারি ২০০৭)। "Muhammad Yunus: The triumph of idealism"New Year Special: Heroes। New Age। ৭ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ 
  15. "About Dr. Yunus: Family"। MuhammadYunus.ORG। ১৬ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০০৮ 
  16. Yunus, Muhammad (১৪ অক্টোবর ২০০৩)। গিরেবর উপকাের লােগ োদেখ বਗ਼ োলাক অামােদর বઘাংেক টাকা জমা রাখেত এিগেয় এেসেছ ড় মઓহামઅদ ইউনકসProthom Alo (সাক্ষাৎকার)। সাক্ষাত্কার গ্রহণ করেন Rahman, Matiur। Dhaka। ১২ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৫ 
  17. "The Graduate Program in Economic Development - Vanderbilt University ..."। ১১ ডিসেম্বর ২০১২। ১১ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  18. Yunus to receive Nichols-Chancellor's Medal ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ জুন ২০০৮ তারিখে, Vanderbilt News, 12 March 2007; Retrieved: 9 September 2007
  19. Yunus, Muhammad; Jolis, Alan (২০০৩)। Banker to the Poor: micro-lending and the battle against world poverty। New York: Public Affairs। পৃষ্ঠা 20–29আইএসবিএন 978-1-58648-198-8 
  20. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ 
  21. "Yunus, Muhammad"Ramon Magsaysay Award Foundation। ১৪ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০০৭ 
  22. "Bangladesh: Country of Origin Information Report"Country of Origin Information Service। UK: Border & Immigration Agency। ১৫ জুন ২০০৭। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল (DOC) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ 
  23. Hossain, Farid (১ নভেম্বর ২০১২)। "Internet Rolls Into Bangladesh Villages on a Bike"U.S. News & World Report। Associated Press। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  24. "Info Ladies – Riding Internet into Rural Bangladesh!"Amader Kotha। ৮ নভেম্বর ২০১২। ১৭ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  25. Bouissou, Julien (৩০ জুলাই ২০১৩)। "'Info ladies' go biking to bring remote Bangladeshi villages online"The Guardian। London। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  26. "Profile: Muhammad Yunus, 'world's banker to the poor'"BBC News। ২ মার্চ ২০১১। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০০৬ 
  27. Yunus, Muhammad; Jolis, Alan (২০০৩)। Banker to the Poor: micro-lending and the battle against world poverty। New York: PublicAffairs hc। পৃষ্ঠা 46–49আইএসবিএন 978-1-58648-198-8 
  28. "GB at a glance" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে, Muhammad Yunus, Grameen Info. Retrieved 9 September 2007
  29. [১]Ramon Magsaysay Award Foundation. ১৪ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অগাস্ট ২০০৭।
  30. "মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকার"সিএনএন এশিয়া। ২০০৭। ১৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৭, ২০২৪ 
  31. Yunus, Muhammad। "Introduction"Grameen Family। ১৮ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ 
  32. "Grameen Fund ventures on Grameen official website"। Grameen-info.org। ১২ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ 
  33. "About Grameenphone"। Grameenphone। ১৬ নভেম্বর ২০০৬। ১০ আগস্ট ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০০৭Grameenphone is now the leading telecommunications service provider in the country with more than 10 million subscribers as of November 2006. 
  34. "Village Phone"About Grameenphone। Grameenphone। ২০০৬। ১০ আগস্ট ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০০৭ 
  35. "Muhammad Yunus, Ashoka's Global Academy Member, Wins Nobel Peace Prize"। Ashoka.org। ১৩ অক্টোবর ২০০৬। ১৬ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০০৭ 
  36. Posman, Jerald (২৬ জানুয়ারি ২০০৮)। "In thrall to an agent of change"The Daily Star। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৫ 
  37. "The Nobel Peace Prize for 2006"নোবেল ফাউন্ডেশন। ১৩ অক্টোবর ২০০৬। ১৯ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০০৬ 
  38. "Yunus wins peace Nobel for anti-poverty efforts"। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। ১৩ অক্টোবর ২০০৬। ২৯ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০০৭ 
  39. Boulden, Jim (২৯ মার্চ ২০০১)। "The birth of micro credit"সিএনএন। ৭ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০০৭ 
  40. Clinton, Bill (২০০৪)। My Life: The Presidential Years। New York: Vintage Books। পৃষ্ঠা 329আইএসবিএন 978-0-375-41457-2Muhammad Yunus should have been awarded the Nobel Prize in Economics years ago. 
  41. Ainsworth, Diane (২৯ জানুয়ারি ২০০২)। "Transcript of the Jan. 29, 2002 talk by former President Bill Clinton at the University of California, Berkeley"Clinton: education, economic development key to building a peaceful, global villageUC Regents। ২১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০০৭ 
  42. "Losing its Lustre"দি ইকোনমিস্ট। ১৩ অক্টোবর ২০০৬। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০০৮ 
  43. "Parliament with honest, efficient must for development"। দ্য নিউ নেশন। ২১ মার্চ ২০০৬। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০০৭ 
  44. "Yunus not willing to be caretaker chief"দ্য ডেইলি স্টার। ১৮ অক্টোবর ২০০৬। ২৯ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০০৭ 
  45. "Yunus seeks people's views on floating political party"দ্য ডেইলি স্টার। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০০৭ 
  46. Siddique, Islam (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭)। "Bangladesh Nobel Laureate Announces His Political Party's Name"All Headline News। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০০৭ 
  47. "'I will do politics of unity': Yunus names his party Nagorik Shakti"। দ্য নিউ নেশন। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। 34138। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০০৭ 
  48. Mustafa, Sabir (৫ এপ্রিল ২০০৭)। "Bangladesh at a crossroads"বিবিসি নিউজ। ১ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০০৭At first glance, the current state of Bangladesh appears to be a paradox: a country under a state of emergency, but where the general public seem quite content. 
  49. "Yunus drops plans to enter politics"Al Jazeera। ৩ মে ২০০৭। ২১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০০৭ 
  50. "Nelson Mandela and Desmond Tutu announce The Elders"। TheElders.org। ১৮ জুলাই ২০০৭। ২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৩ 
  51. "Mandela joins 'Elders' on turning 89"NBC News। Associated Press। ২০ জুলাই ২০০৭। ২৯ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০০৭ 
  52. "Muhammad Yunus steps down"। TheElders.org। ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯। ১৩ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৩ 
  53. "Jobs, Justice and Equity: Seizing opportunities in times of global change"Africa Progress Panel। মে ২০১২। ৯ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  54. "SNV Multilateral Organisation Performance Assessment Network (MOPAN) Institutional Report"। নেদারল্যান্ড সরকার। ২০১২। ২৪ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৩ 
  55. "SNV Netherlands Development Organisation establishes International Advisory Board"। Snvworld.org। ৮ জুলাই ২০০৯। ২৮ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১১ 
  56. "Commissionners"। Broadbandcommission.org। ১৪ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১১ 
  57. High-Level Commission on Health Employment and Economic Growth – Commissioners World Health Organization.
  58. "Yunus suggests 7-point proposal for resolving Rohingya crisis"দ্য ডেইলি স্টার। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৮ 
  59. "১৯৯৬ ও ২০০১ সালে যারা ছিলেন উপদেষ্টা"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। ২১ অক্টোবর ২০১৩। 
  60. "চব্বিশ ঘণ্টার বেশি সময় সরকারহীন বাংলাদেশ, পুলিশ ও প্রশাসনে অচলাবস্থা"বিবিসি নিউজ বাংলা। ২০২৪-০৮-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৮ 
  61. "অধ্যাপক ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করতে চায় ছাত্র আন্দোলন"বিবিসি নিউজ বাংলা। ২০২৪-০৮-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৮ 
  62. প্রতিনিধিঢাকা, বিশেষ। "ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৮ 
  63. প্রতিনিধি, বিশেষ (২০২৪-০৮-০৯)। "ড. ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন যাত্রা"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৯ 
  64. Ahmed, Farid (১৪ জানুয়ারি ২০১১)। "Nobel-winning microcredit bank comes under scrutiny"CNN। ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১১ 
  65. "Huge support for Yunus"The Daily Star। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১১ 
  66. "Bangladesh Nobel winner Yunus should 'stay away'"। Agence France-Presse। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১। ২৫ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১১ 
  67. Polgreen, Lydia (২৯ জানুয়ারি ২০১১)। "Bangladesh Inspects Grameen Bank and Muhammad Yunus"The New York Times। ১৭ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  68. "Bangladesh Trying To Fire Muhammad Yunus, Nobel Laureate, From Microlender Grameen"HuffPost। ২ মার্চ ২০১১। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১১ 
  69. "Statement of Grameen Bank"Grameen। ১১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  70. "Yunus files writ petition against his removal"bdnews24.com। ৩ মার্চ ২০১১। ২ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১১ 
  71. "Another writ petition filed challenging govt decision"The Daily Star। ৩ মার্চ ২০১১। ২৪ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১১ 
  72. "US senator Kerry 'deeply concerned' at Yunus removal"Daily Nation। Agence France-Presse। ৫ মার্চ ২০১১। ৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭ 
  73. Alam, Shafiq (৫ মার্চ ২০১১)। "Thousands in Bangladesh protest at Yunus sacking"Yahoo News। Agence France-Presse। ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১১ 
  74. "Bangladesh judge confirms Yunus sacking"Business Recorder। Karachi। Agence France-Presse। ৮ মার্চ ২০১১। ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১১ 
  75. Epstein, Keith (১৩ ডিসেম্বর ২০০৭)। "Compartamos: From Nonprofit to Profit"Bloomberg BusinessWeek। ১৭ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১১ 
  76. "The need for a balanced development policy"The Morung Express। ৩০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১১ 
  77. "Profit-focused MFIs are loan sharks: Yunus"The Times of India। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১। ১৫ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১১ 
  78. "Sacrificing Microcredit for Megaprofits"Yunus Centre। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১১ 
  79. Kinetz, Erika (২৮ জুলাই ২০১০)। "SKS Launches India's First Microfinance IPO"Bloomberg Businessweek। Associated Press। ২৩ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১১ 
  80. Bahree, Megha (১১ অক্টোবর ২০১০)। "A Big Split Over Microfinance"Forbes। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১১ 
  81. "Quick: What's the Grameen Bank's Interest Rate?"Center For Global Development। ৩ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৩ 
  82. এনজিও-গুলির ক্ষুদ্রঋণ প্রসঙ্গে, আফজাল হোসেন [About the interest rates of the NGOs, Afzal Hossain]। পড়শী, San Jose, California। মার্চ–এপ্রিল ২০০৬। 
  83. "Social Entrepreneurs Impact World Leaders"Schwab Foundation for Social Entrepreneurship। ২৫ জানুয়ারি ২০১১। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১১ 
  84. Hafez Ahmed। "Prof Yunus appears in court today"Newstoday.com.bd। ৩ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১১ 
  85. "Grameen's Muhammad Yunus in court for defamation case"BBC News। ১৮ জানুয়ারি ২০১১। ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১১ 
  86. Jason Burke (২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। "Microfinance guru Muhammad Yunus faces removal from Grameen Bank"The Guardian। London। ১৯ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১১ 
  87. Farid Ahmed (২৮ জানুয়ারি ২০১১)। "Bangladeshi Nobel laureate faces fresh legal trouble at home"সিএনএন। ২৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১১ 
  88. "Contaminated yoghurt lands Yunus in dock"ডেকান ক্রনিকল। ফ্রান্স-প্রেস এজেন্সি। ২৮ জানুয়ারি ২০১১। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১১ 
  89. "Interim report of the Grameen Bank Commission" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়। ৩ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৭ 
  90. "Nobel laureate Yunus faces 174 cases in Bangladesh"New Age। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩। ৯ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২৩ 
  91. "The never-ending trial of Muhammad Yunus"The Times of India। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩। ৪ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  92. "Yunus slams 'destruction' of Grameen"Dawn। ৭ নভেম্বর ২০১৩। ১৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  93. "Microfinance guru Muhammad Yunus faces removal from Grameen Bank"The Guardian। ১৯ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  94. "Muhammad Yunus Accused of Tax Evasion, Bangladesh To Take Legal Action Against Nobel Laureate"HuffPost। Associated Press। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  95. Bornstein, David (১৭ এপ্রিল ২০১৩)। "Beyond Profit: A Talk With Muhammad Yunus"Opinionator (Opinion)। ২৮ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  96. Bornstein, David (২২ আগস্ট ২০১২)। "An Attack on Grameen Bank, and the Cause of Women"Opinionator (Opinion)। ১ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  97. Nolan, Rachel (৯ মার্চ ২০১১)। "Did 'Hingsha' Do In a Nobel Prize Winner?"The 6th Floor (Opinion)। ১০ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  98. Sengupta, Somini (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৭)। "A Nobel Prizewinner's Hat Alters the Political Ring in Bangladesh"The New York Times। ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  99. Southall, Ashley (৩০ জুলাই ২০০৯)। "Obama to Award Medals of Freedom to 16"The Caucus (Opinion)। ৩০ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  100. Farid Ahmed। "Bangladesh asked to find a compromise to end bank crisis"CNN। ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  101. Vikas Bajaj (১৩ নভেম্বর ২০১৩)। "A Hostile Bank Takeover"Taking Note। The New York Times। ২৭ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৬ 
  102. "Nobel winner Yunus convicted in Bangladesh labour law case"Yahoo News (ইংরেজি ভাষায়)। ১ জানুয়ারি ২০২৪। ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২৪ 
  103. "শ্রম আইন লঙ্ঘনে মুহাম্মদ ইউনূসের ছয় মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা"বিবিসি বাংলা। ১ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২৪ 
  104. "Yunus conviction a blatant abuse of justice system: Amnesty"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১ জানুয়ারি ২০২৪। ২ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২৪ 
  105. "Dr Yunus acquitted, sentence overturned in labour law case"ঢাকা ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০২৪ 
  106. "Home – FATHER OF BENGALEE NATION"। bangabandhuporisad.webs.com। ৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  107. "Middle Tennessee State University | Middle Tennessee State University"। mtsu.edu। ৫ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  108. "The role of Muhammad Yunus in the Bangladesh Liberation War and thereafter"The Financial Express। Dhaka। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  109. "Yunus on Congressional medal"bdnews24.com। ১০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  110. "Hasina vs Yunus"Himal। ৫ মার্চ ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  111. "Yunus names his political party Nagorik Shakti"bdnews24.com। ১০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  112. "Bangladesh Takes Aim at Grameen Bank"The New York Times (Opinion)। ৬ আগস্ট ২০১৩। ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  113. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হিংসা আর ভয়ের কারণই ড. ইউনূসের সাথে দন্দ্বঃ টাইমস অব ইন্ডিয়াআমাদের সময়। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  114. Bari, R. (২০১১)। Grameen Social Business Model: A Manifesto for Proletariat Revolution। AuthorHouse। পৃষ্ঠা 158। আইএসবিএন 9781468565652। ৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  115. "Dr Fakhruddin caretaker head of Bangladesh"ওয়ানইন্ডিয়া। ১২ জানুয়ারি ২০০৭। ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  116. "Usurers up in arms to usurp politics, Hasina tells cultural activists"bdnews24.com। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। ৯ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  117. "Letter to Mr. Alex Counts" (পিডিএফ)। ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৩ 
  118. "A person is innocent until found guilty"The Daily Star। ১১ ডিসেম্বর ২০১০। ৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  119. "Yunus secures bail in Shakti Doi adulteration case"। ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  120. "Employees protest change in GB law"The Daily Star। ৭ নভেম্বর ২০১৩। ১০ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ 
  121. "GB staff give govt 15 days to make Yunus bank's chair"New Age। ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  122. "Yunus removal upheld"The Daily Star। ৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  123. "Bangladesh chides Clinton for microlender comments"। CNN। ৫ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  124. "Bangladesh Supreme Court rejects Dr. Yunus' appeal"The Hindu। ৫ এপ্রিল ২০১১। ৬ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  125. "US worried over Grameen Bank future"bdnews24.com। ১০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  126. "Microfinance pioneer Muhammad Yunus accused of tax evasion"The Guardian। ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  127. "Bangladesh: Nobel laureate Muhammad Yunus faces tax probe"BBC News। ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  128. "Grameen Bank Faces Greater Controls"The Wall Street Journal। ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 
  129. Rahman, Md. Fazlur (৮ নভেম্বর ২০১৩)। "Vote for parties that will return old GB"ডেইলি স্টার। ১০ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ 
  130. "Passing of Grameen Bank Act, 2013"ডেইলি স্টার। ৮ নভেম্বর ২০১৩। ১৪ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ 
  131. "JS passes Grameen Bank law"ডেইলি স্টার। ৫ নভেম্বর ২০১৩। ৬ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ 
  132. "Monica Yunus, Soprano"Biography। VoxPagel.com। ২৭ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল (asp) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০০৭ 
  133. "History Center for Mass Education in Science" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৯ 
  134. "Muhammad Jahangir passes away"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ জুলাই ২০১৯। ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৯ 
  135. প্রফেসর ইউনূসের ঝুলিতে নোবেলসহ ১৪৫ পুরস্কার, মানব জমিন, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১
  136. Ramon Magsaysay Award, 1984: Citation for Muhammad Yunus ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-০৫-০৯ তারিখে; Retrieved: 2007-09-01
  137. Grameen Bank Website accessed 2 November 2006. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ মে ২০০৮ তারিখে
  138. "25 Most Influential"Nightly Business Report। PBS। ১ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১২ 
  139. Tharoo, Ishaan (১৩ নভেম্বর ২০০৬)। "Asian Heroes: Muhammad Yunus"অর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজনTime। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৫ 
  140. "Intellectuals"Prospect Magazine। ২০০৯। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১২ 
  141. "Dr Yonus awarded Golden Biatec 2008"The Financial Express। Dhaka। ১৩ অক্টোবর ২০১০। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৫ 
  142. Report, Star Sport (২০২১-০৭-২৩)। "Nobel laureate Yunus awarded prestigious Olympic Laurel"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৩ 
  143. Report, Star Digital (১৪ ডিসেম্বর ২০২১)। "Dr Yunus receives United Nations Foundation's Champion of Global Change Award"The Daily Star। ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ 

বহিঃসংযোগ